জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত

অনেকে মনে করে পতাকা অর্ধনমিত মানে পতাকা দন্ডের মাঝামাঝি অবস্থানে ঝুলানো। কিন্তু জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত মানে পতাকাদন্ডের অর্ধেক/মাঝামাঝি পরিমান নিচে নামানো নয়। বরং পতাকার প্রস্থের সমপরিমান নিচে নামানো। তা সে পতাকাদন্ডটি যতই লম্বা হোক বা খাটো হোক। পতাকাদন্ডের মাপের সাথে পতাকা অর্ধনমিত করার মাপের কোন সম্পর্ক নেই। অর্ধনমিত করার মাপ নির্ভর করবে পতাকার প্রস্থের মাপের উপর। অর্থাৎ , যদি পতাকাটির প্রস্থের মাপ ৬ ফুট হয় তো ৬ ফুট নিচে নামিয়ে বাঁধতে হবে। পতাকাটির প্রস্থের মাপ যদি ৩ ফুট হয় তো ৩ ফুট নিচে নামিয়ে রাখতে হবে  এবং পতাকাটির প্রস্থ যদি ১.৫ ফুট হয় তো ১.৫ ফুট নিচে নামিয়ে রাখতে হবে। পতাকাটি নির্ধারিত দড়িতে বেঁধে প্রথমে দণ্ডের চূড়া পর্যন্ত তুলে তারপর নিয়মানুসারে মাপমত নামাতে হবে।  


সকালে সূর্যোদয়ের পরমূহুর্তে জাতীয় পতাকাটি ধীরে ধীরে পূর্ণ উত্তলন করে ৩০ সেকেন্ড রেখে সেল্যুট দিতে হবে। স্যালুট শেষ হলেই ধীরে ধীরে মাপমত (পতাকাটির প্রস্থের সমপরিমান) নিচে নামিয়ে বাঁধতে হবে। এটিই জাতীয় পতাকার অর্ধনমিতকরণ। এই অর্ধনমিত অবস্থায় পতাকাটি রাখতে হবে সারাদিন। এরপর বিকালে সূর্যাস্তের আগমূহুর্তে পতাকাটি পুনরায় পূর্ণ উত্তলন করে ৩০ সেকেন্ড রেখে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ নামিয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে পরদিন আবার একইভাবে এই কাজ করতে হবে। রাতে জাতীয় পতাকা উত্তলিত বা অর্ধনমিত রাখা যাবে না। জাতীয় শোকদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তলনের সময় বা অর্ধনমিত করার সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হবে না। 


★নিম্নবর্ণিত দিবসসমূহে ‘পতাকা’ অর্ধনমিত থাকে:


(ক) ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস (যা এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস)

(খ) ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস

(গ) সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোন দিবস।